ঢাকা,রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ধেয়ে আসছে ‘নাডা’, দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত

tufanঅনলাইন ডেস্ক ::::

গভীর সমুদ্রে সৃষ্ট নিম্নচাপ ‘নাডা’ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ক্রমেই বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। শনিবার বিকেল ৩টা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ‘নাডা’র অবস্থান ছিল পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে। ঘূর্ণিঝড়ের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ৬০ কিলোমিটার। এর প্রভাবে উপকূলীয় জেলাগুলোতে ২ থেকে ৩ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে।

আগে ঘূর্ণিঝড় ‘নাডা’ ভারতের উড়িষ্যা ও অন্ধ্র প্রদেশের দিকে যাওয়ার পূর্বাভাস থাকলেও গতকাল শনিবার এর গতিপথ অনেকটাই পরিবর্তন হওয়ায় এটি বাংলাদেশ উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়সহ জলোচ্ছ্বাসের খবরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে উপকূলীয় দক্ষিণাঞ্চলে।

গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে গত শুক্রবার সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। শনিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত বিগত ২৪ ঘণ্টায় ২৪.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে স্থানীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর। টানা বৃষ্টিতে জনজীবনে মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন তেমন একটা রাস্তাঘাটে বের হচ্ছেন না।

এদিকে, সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বাড়িয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরে জারি করা হয়েছে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে এমএল টাইপের (৬৫ ফুটের কম দৈর্ঘ্যের) লঞ্চ চলাচল পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ।

অন্যদিকে, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় নানা প্রস্তুতিমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে বরিশাল আঞ্চলিক ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি। উপকূলের বিভিন্ন এলাকায় এবং চরাঞ্চলে ও বেড়ি বাঁধের বাইরে অবস্থানরতদের নিরাপদে আশ্রয় নিতে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিভাগের ৬ হাজার ২শ’ স্বেচ্ছাসেবী।

ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়ে সভা করে প্রস্তুতি আরও জোরদার করার কথা জানিয়েছেন বরিশাল আঞ্চলিক ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচীর উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশিদ।

পাঠকের মতামত: